প্যারাসিটামল কি ?
প্যারাসিটামল একটি NSAID (Non-Steroidal Anti Inflamatory Drug) এবং OTC (Over The Counter) জাতীয় ঔষধ । OTC ঔষধগুলো হচ্ছে ঐ সকল ঔষধ যা কিনা কোনরকম প্রেসক্রিপশন ছাড়াই কেনা এবং সেবন করা যায়। আর এই ধরনের ঔষধ যেকোনো ফার্মেসি, পাম্প স্টেশন, সুপার শপ বিক্রি করার অধিকার রাখে। এটি একটি নন-ওপিঅয়েড এবং সিনথেটিক ব্যাথা নাষক ঔষধ।
বাজারে সাধারণত তিন ধরনের প্যারাসিটামল প্রিপারেশেন পাওয়া যায়। এগুলো হচ্ছে শুধু প্যারাসিটামল, প্যারাসিটামল + ক্যাফেইন এবং অতিরিক্ত প্যারাসিটামল।
কেমিকেল নামঃ এসিটামিনফেন।
জেনেরিক নামঃ প্যারাসিটামল।
ব্রান্ড নামঃ নাপা, রিসেট,সারভিজেছিক, এইচ, তামেন ইত্যাদি।
ব্যাবহার:
জ্বর, হাল্কা বা মাঝারি ধরনের মাথা ব্যাথা, হাড়ের জয়েন্ট এ ব্যাথা, দীর্ঘ মেয়াদী হালকা বেকপেইন, কিডনি পাথরের ব্যাথা, দাঁতে ব্যাথা ইত্যাদি কারণে প্যারাসিটামল সেবন করা যায়।
ঔষধের ধরন ঃ
১। ট্যাবলেট।
২। ক্যাপসুল।
৩। সিরাপ।
৪। ইনজেকশন।
৪। ইনজেকশন।
৫। শিশুদের ড্রপ । এবং
৬। সাপজিটরি।
(১) ট্যাবলেট ঃ
প্রাপ্ত বয়স্কঃ ১-২ ট্যাবলেট (৫০০ মিলিগ্রাম) চার থেকে ছয় ঘণ্টা পর পর, সরবচ্চ ৪ গ্রাম দৈনিক।
শিশু (৬-১২ বছর) ঃ১/২- ১ ট্যাবলেট তিন থেকে চার বার দৈনিক।
(২) সিরাপঃ
শিশু (২ মাস) ঃ ১/২ চামচ দিনে তিন থেকে চার বার।
শিশু (১-৫ বছর)ঃ ১-২ চামচ দিনে তিন থেকে চার বার।
শিশু (৬-১২ বছর)ঃ২-৪ চামচ দিনে তিন থেকে চার বার।
(৩) সাপজিটরিঃ
সাপজিটরি সাধারণত গুরুতর অবস্থায়, পায়খানার রাস্তা দিয়ে প্রদান করা হয়।
শিশু (৩ মাস- ১ বছর)ঃ ৬০-১২০ মিলিগ্রাম।
শিশু (১-৫ বছর)ঃ ১২৫-২৫০ মিলিগ্রাম।
শিশু (৫-১২ বছর)ঃ ২৫০-৫০০ মিলিগ্রাম।
প্রতিক্রিয়াঃ
(-) হাইপারসেন্সিটিভিটি।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ
(-) বমি।
(-) খসখসে চামড়া।
(-) লিভার ডেমেজ।
(-) ইত্যাদি।
সাবধানতা ঃ
কিডনি সমস্যার রোগী এবং গর্ভবতী মা প্যারাসিটামল এরিয়ে চলুন / ডাক্তার এর পরামর্শে ব্যাবহার করুন।
2 comments
nice article....
Good job bro. Great initiative to learn/understand about drugs.
EmoticonEmoticon